ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া লোকমানের নির্দেশে পূর্ব দিকে মুসলিমদের সেজদা

ভোলা প্রতিনিধিঃ মসজিদের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জায়গা বলা হয় আল্লাহর ঘর মসজিদ কে।এটা হলো প্রতিটি মুমিনের জন্য একটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান।মসজিদ শুধু ইবাদত-বন্দেগির জন্য নয়, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বটে

এমটাই দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের টেকেরহাট নামক এলাকায় মসজিদ ভাঙ্গার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় লোকমান গংদের বিরুদ্ধে।

যানায়ায় কয়েকদিন আগে বিদেশী সংস্থার দেওয়া মসজিদ পাওয়ার লোভে একটি মসজিদ ভাঙ্গনের কার্যক্রম শুরু করে লোকমান ও তার সহযোগীরা। মসজিদ পাওয়ার লোভে জুমার দিন বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসুল্লিদের এনে লোকনানের নেতৃত্বে পশ্চিম দিক পিছনে রেখে পূর্ব দিকে সিজদা দেওয়ার ও অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় আনসার আলী নামে একজন মুসুল্লি বলেন,কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় বিদেশী সংস্থার একটি মসজিদ আসবে বলে মুসল্লিদের বলেন লোকমান ও তার সহযোগীরা। বিদেশি সংস্থার মসজিদ পাওয়ার লোভে লোকমান ও তার লোকজন মিলে মসজিদ ভাঙ্গনের তান্ডব লীলায় মেতে উঠে।বর্তমান যে মসজিদটি রয়েছে দেখতে অনেক সুন্দর। মসজিদটি ভাঙ্গন উপযোগী না হওয়া স্থানীয় জনতার প্রতিবাদে লোকমানের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

স্থানীয় আরো এক মুসুল্লি জানায়, লোকমানের এই অর্থলুভী অনৈতিক মসজিদ ভাঙ্গার কাজে আমরা স্থানীয় লোকজন বাধা দেই।আমাদের বাধার কারণে লোকমানের মসজিদ ভাঙ্গার পরিকল্পনা পূরণ না হওয়া স্থানীয় আনসার আলীর নামে মিথ্যা ও ভানোয়াট নিউজ সাংবাদিক ভাইদের দিয়ে করিয়েছে লোকমান।যার সত্যে তা প্রমাণ আজও মিলে

এখানেই শেষ নয় লোকমানের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো একাধিক অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, লোকমান এলাকার অসহায় মানুষগুলোকে বিভিন্ন ভাবে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় লাখ টাকা। এলাকায় বিচার সালিশের নামে চলতে থাকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা। আবার এমনটাও শোনা যাচ্ছে ৪নং ইউপি সদস্য নাকি তার পকেটের টাকায় নির্বাচিত হয়।

কালের বিবর্তনে লোকমানের অর্থ আর ক্ষমতা দুটি বৃদ্ধি পায়।যার কারনে এলাকার নীরিহ জনতা জিম্মি হয়েই বসবাস করতে হয়। লোকমানের ক্ষমতার দাপট থেকে বাচতে সাংবাদিক, প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসি।

আমি রাস্তা করেছি দেইখা তো জনগন আমার কথা বলে। মসজিদ ভাঙ্গনের কথা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় লোকমান।