নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীবের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী গত ৬ মে আসামিদের এ মামলায় দেখানোর আবেদন করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ড শুনানির তারিখ বৃহস্পতিবার ধার্য করে দেন।
পলাত আসামিদের অবস্থান, পরিচয়, আলামত উদ্ধার, মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা, মদদ দাতাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামি মাসুদ আলম ওরফে মাসুদের পক্ষে তার আইনজীবী ইউসুফ ভূঁইয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে অপর আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে ঢাবি সংলগ্ন চানখারপুল এলাকা থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ওই দিনই মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি ওরফে সিয়ামের দুই দিন, আলী হোসেনের তিন দিন এবং রাকিবুলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। এরপর আসামিদের এ মামলায় রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানোসহ নাশকতা এবং পুলিশকে মারধর ও কর্তব্য কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই ভজন বিশ্বাস ১০ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করে। ওই ঘটনায় আরো দুটি মামলা করে পুলিশ। আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের মামলা করেন।
তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই।


