
সচিবালয় প্রতিবেদক : ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার বাড়াতে এবং দেশব্যাপী বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে চীনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
চীনের পীত নদী রক্ষা কমিশনের কমিশনার ও ভাইস মিনিস্টার ইউই ঝংমিং-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর আমন্ত্রণে সচিবালয়স্থ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত সচিব বেগম নাসরিন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী সুধীর কুমার ঘোষসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এ সময় প্রতিনিধিদলকে নিরাপদ পানি, দূষণরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন বিষয়ে বাংলাদেশের চলমান ব্যবস্থা, অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা অদূর ভবিষ্যতে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার শতকরা ৮০ ভাগে উন্নীতকরণ এবং দেশব্যাপী বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিতে প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি পানির পয়েন্ট স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী চায়না এক্সপোর্ট ব্যাংক ও চায়না হাইড্রো করপোরেশনের সহায়তায় ঢাকা শহরে দৈনিক ৪৫০ লিটার পানি সরবরাহের ক্ষমতা সম্পন্ন পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প ও দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবগত করেন।
চায়নার ভাইস-মিনিষ্টার জানান, তারাও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বিষয়ে ২০০৫ সাল থেকে জোরালোভাবে কাজ করছেন। তাতে তারা শহর ও গ্রামের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বর্তমানে গ্রামীণ জনপদে শহরের মডেল চালু করে সুফল পাচ্ছেন।
এ সময় তিনি পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন বিষয়ে ভাল ফলাফলের জন্য তাদের দেশে চালু করা দৈনিক মনিটরিং ব্যবস্থারও বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
চায়নার মন্ত্রী পীত নদীর অতীত ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, চীনের প্রায় ২ শতাংশ জনগণ এ নদীর আশে-পাশে বসবাস করে। জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ নদীর সাথে জনগণের ১৫ শতাংশ সম্পৃক্ততা রয়েছে। পীত নদী রক্ষা কমিশনের কমিশনার হিসেবে পীত নদীর দূষণ রোধ ও পানি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চিত্র সম্পর্কেও অবহিত করে বাংলাদেশের নদীসমূহের ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও এক সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদল মন্ত্রীকে সে দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।