সচিবালয় প্রতিবেদক : একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতনের শিকার আরো ২৪ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে মোট ১৭০ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন।
বুধবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৩৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনারা হলেন- রংপুর সদরের আনোয়ারা বেগম ও মোছাম্মৎ আয়শা বেগম এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জের মোসাম্মৎ আলেয়া বেগম ও গৌরনদীর নুরজাহান বেগম, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কমিলা বেগম, ফরিদপুরের মধুখালীর ফুলজান বেগম, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনী, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মমতাজ বেগম, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের আলেয়া বেগম এবং ঢাকার মুগদাপাড়ার মোছাম্মৎ হনুফা বেগম, কুড়িগ্রাম সদরের মোছাম্মৎ দেলো বেওয়া, রহিমা খাতুন, মজিদা বেগম, ছালেহা বেওয়া, বছিরন বেগম, শ্রীমতি তরু বালা, ফাতেমা বেগম, কুড়িগ্রাম সদরের খোতেজা বেগম, খুকী বেগম এবং গেন্দী বেওয়া, পাবনা আটঘরিয়ার শ্রীমতি সোনা বালা, মায়ারানী ও জামেলা খাতুন এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মোমেনা বেগমকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ঘোষিত বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গত বছর ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে।