এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে জঙ্গি সন্দেহে চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

রোববার বেলা ১১টার দিকে গাবতলির ওই বাড়ির কাছেই সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, সিলেটের আতিয়া মহলের সদস্যদের সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা ছিল এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে যাদের বাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাপ্ত তথ্যগুলো র‌্যাব যাচাই করছে। এখনই বলা যাচ্ছে না।

মুফতি বলেন, এর আগেও নিহতদের পরিবার দাবি করছিলেন তারা কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। পরিবার বিশ্বাস করতে পারে না যে, তাদের পরিবারের সদস্যরা জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।

বাড়ি ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। ডকুমেন্ট ছিল। তবে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনের সঙ্গে এখানের অবস্থা মেলে না। আমরা ভেরিফাই করছি। যারা ভাড়া নিয়েছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন নেই, নতুন কয়েকজন যুক্ত হয়েছে।’

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, উদ্ধারকৃতরা কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা এখনই বলা সম্ভব না। একটু পেছনের দিকে গেলেই তাদের সম্পৃক্ততা বোঝা যাবে।

একটি কক্ষে তল্লাশি করা হয়েছে। সেখানে কোনো অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে বাকিগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের বিষয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, তার পরিবার দাবি করেছে, সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে। সে আমাদের হেফাজতেই আছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা থেকে আমাদের অভিযান শুরু হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং এলাকায় জনবসতি থাকায় গতকাল রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। এরপর আজ সকালে আমরা আস্তানায় থাকা ‘জঙ্গিদের’ স্বজনদের নিয়ে আসি। তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হই। আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল তাদের আত্মসমর্পণ করানো।

এর আগে রোববার সকালে ওই বাড়ির ভেতর থেকে পাঁচ জনকে বের করে আনা হয়। তারা হলেন, আবু জাফর, সালাউদ্দিন, নাসিকুর ইসলাম, মাসুদুর রহমান ও মশিউর রহমান।

শনিবার বিকেল ৪টা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গাবতলির এ বাড়িটি চার পাশে ঘিরে রাখে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ। এ ছাড়া ওই বাড়িটির আশপাশের এলাকায় ৫০০ গজ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।