কনস্টেবল জসিমের পরিবারের পাশে থাকবে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘করোনাযুদ্ধে’ অগ্রগামী যোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশ সদস্যরা। ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের প্রথম সদস্য হিসেবে প্রাণ গেলো কনস্টেবল মো. জসিম উদ্দিনের (৪০)।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ পুলিশ। একইসঙ্গে করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের পরিবারের পাশে সর্বোতভাবে থাকার কথা জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের সম্মানিত জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জসিম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একইসঙ্গে দেশমাতৃকার সেবায় তার এমন আত্মত্যাগে বাংলাদেশ পুলিশ গর্বিত। তাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ পুলিশ।

করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মো. জসিম উদ্দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারি বিভাগের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। করোনাকালে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ২৫ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর থেকেই তিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

কিন্তু মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১০টায় জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, কনস্টেবল জসিম উদ্দিন করোনা পজিটিভ ছিলেন অর্থাৎ তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এআইজি সোহেল রানা জানান, বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় জসিম উদ্দিনের মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পাঠানো হবে। সেখানেই ধর্মীয়রীতি মেনে তাকে দাফন করা হবে। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কনস্টেবল মো. জসিম উদ্দিনের পরিবারের পাশে সর্বোতভাবে থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ।