নরসিংদী প্রতিনিধি : ‘কমিউনিটি পুলিশকে থানায় সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। থানার ওসিরা যদি সঠিক তথ্য নিতে না চায় কিংবা তথ্য গ্রহণে অবহেলা করে এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
সোমবার বিকেলে নরসিংদী পুলিশ লাইন্সে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মহাসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, নরসিংদী পৌর মেয়র কামরুজ্জামান প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে তা প্রথমে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করবে কমিউনিটি পুলিশ। মীমাংসা না হলে পরে মামলা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা সমস্যা সমাধানের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কমিউনিটি পুলিশ থেকে টাউট-বাটপারদেরকে বাদ দিয়ে জনগণের আস্থাভাজন ভালো লোক নিয়োগ করতে হবে। তবেই পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি মহল সবসময় পুলিশের সমালোচনা করে আসছে। তারা বলেন, কেন জঙ্গিদের বাঁচিয়ে রাখলাম না। এসব বলে তারা প্রকারান্তরে জঙ্গিদের পক্ষেই কথা বলছেন। তারা পুলিশকে সাপোর্ট না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে সম্মুখযুদ্ধের সময় জঙ্গিদের বাঁচিয়ে রেখেছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেড়শ বছরের ইতিহাসে সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের অনেককেই চিহিৃত করা হয়েছে। অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বাকিদেরও আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে দলের বা মতেরই হোক না কেন।’
এর আগে আইজিপি অফিসার্স মেস ও নারী পুলিশ ব্যারাকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং নবনির্মিত পুলিশ ব্যারাকের উদ্বোধন করেন।