
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুকগুকসং ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। রোববার চলেছে এর দ্বিতীয়দফা পরীক্ষা। এ ক্ষেপণাস্ত্রে ‘সলিড ফুয়েল’ ব্যবহার করা হয়েছে। এই জ্বালানি বেশ স্থিতিশীল হওয়ায় সহজেই ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি-ট্যাঙ্কে এটি ভরা যায় এবং স্বল্প সময়ের নোটিসে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। উত্তর কোরিয়া সাধারণত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় ‘তরল জ্বালানি’ ব্যবহার করে থাকে।
রোববার উৎক্ষেপণ করা পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগরে পড়েছে। এর আগে গত ১৪ মে পরীক্ষা করা মধ্যপাল্লার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন তার দেশের সর্বশেষ মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘নিখুঁত’ বলে প্রশংসা করেছেন। এ ক্ষেপণাস্ত্রকে সম্ভাব্য যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে টাইম অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কিম জং উন নিজেই পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং পরীক্ষার সফলতায় তিনি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি গর্বের সঙ্গে বলেছেন, পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এটি একটি সফল কৌশলগত অস্ত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তিনি এটিকে সেনাবাহিনীতে মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন।