খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলায় তারিখ পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মো. আমিনুল ইসলাম প্রাক্তন এ প্রাধানমন্ত্রীর পক্ষে সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।

মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ-টু আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষাধীন থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এছাড়া খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা আদালতে থাকায় তার উপস্থিতির জন্যও সময় আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন।

গত বছরের ১০ আগস্ট এই মামলায় হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। এর আগে মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৩১ নভেম্বর বিচারিক আদালতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন ।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নি¤œ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। গত বছর ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও ১০ জন আসামি রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।