খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ, তিনি আগামী দিনের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন জনগণের ভোটে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি ও জনগণকে দুর্বল করা যাবে না। সামনের দিনে ভোটের ফলাফল পাল্টানো যাবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে যে, তারা আগামী দিনে খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। এখন সুযোগ শুধু ভোট দেয়ার। আর সে জন্য আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাথে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবি আদায় করবো।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার স্বামীর নামে গঠিত ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন- এটা দেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ, এ টাকা ব্যবহার বা ব্যাংক হিসেবে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি বাদী পক্ষ খালেদা জিয়া জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে নি।’

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘খালেদা জিয়া যদি বলতেন তার ২ কোটি টাকা লাগবে কোনো কাজে তাহলে বিএনপি অফিসের সামনে দু’টি বাক্স রাখলে ১ ঘন্টায় তার চেয়ে বেশি টাকা জমা হতো। আসলে টাকা আত্মসাৎ কিছু নয়, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এক এগারোতে শুনেছি বাক্স করে ৩ কোটি টাকা আর চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে অথচ সে সব মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনটা নিজেদের পছন্দের বিচারক নিয়োগ করে খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে দায়ের হওয়া মামলাগুলো চলমান রাখা হয়েছে।’

বর্তমান সরকারে মন্ত্রী ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও পদে বহাল থাকেন। আর খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এমনকি এখন পর্যন্ত তার জামিন দেয়া হচ্ছে না।’

সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সাভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু জাফর ও সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।