খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আদেশ ১৬ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে দায়ের হওয়া মামলার আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটিতে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আদেশের তারিখ পিছিয়ে নতুন দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার তারিখ ঠিক করেন।

মামলায় বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমনের সময় ল-নে অবস্থানকালে বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন দেশের অপশক্তিসহ পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে দেশের বিরুদ্ধে এবং আইনানুগ ভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য আইএসআই এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন। এ সম্পর্কে গত ২০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে কিছু গণমাধ্যমে এবং গত ২৭ জুলাই ও ২৮ জুলাই বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ওই সকল প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থা খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবার পর তার ওপর কঠোর নজরদাবী অব্যাহত রেখেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত জুনায়েদ নামের এক ব্যক্তি যিনি সম্ভবত পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই- এর আন্ডার কভার অফিসার, খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে দেখা করেছেন। ছদ্মবেশী ওই জুনায়েদ লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গেও গোপনে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে জুনায়েদের সাক্ষাতের পর আইএসআই- এর কর্মকর্তা রিয়াজ আশরাফও খালেদা জিয়া ও তারেকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইএসআইর সঙ্গে সমঝোতা করেন। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশে অবস্থানরত আইএসআই ও জঙ্গি সংগঠনগুলোকে তৎপর হবার জন্য খালেদা জিয়া প্রস্তাব দেন। বিনিময়ে ক্ষমতায় গেলে আইএসআই ও জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার করতে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’