খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৬ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ হাফিজুর রহমান আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির নতুন তারিখ ২৬ জুলাই ঠিক করেছেন।

মামলাটিতে ২০১৫ সালে ১৮ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই পরিমল চন্দ্র দাস।

অভিযোগপত্রে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের প্রা্ক্তন সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রবাড়ী এলাকার প্রাক্তন এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূইয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যান।

ঘটনার পর পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রাবাড়ীর ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে পর দিন মামলাটি করেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নুরুজ্জামান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকালেও এজহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।