মহিনুল ইসলাম সুজন,জেলা ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারীঃ– নীলফামারীর ডিমলায় দোহলপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে রহস্যজনক ভাবে অতিরিক্ত গাছের চারা লাগানো হয়েছে লোক চক্ষুর আড়াল করতেই ঘটনার পিছনের ঘটনা।
অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিক,জামায়াতের আমির আনোয়ার হোসেন লেবু দিনে স্কুল পরিচালনা করলেও রাতের আধারে প্রতিনিয়ত সেখানে স্ব-দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলবার পায়তারায় মেতে উঠেছেন!আর উক্ত এলাকাবাসীর দৃষ্টি আড়াল করতেই স্কুলের মাঠে এই অতিরিক্ত গাছের চারা রোপন করেছেন মর্মে এলাকায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়।
জানা গেছে,তিস্তার পাড়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য ২০০৫ সালে উপজেলার খগাখড়িবাড়ির দোহলপাড়া বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্রটি ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রানালয়ের অর্থায়নে নির্মান করা হয়। সে সময়ের খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের জামাতের আমির ও দোহলপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লেবু তৎকালীন সময়ে বিএনপির জেলা সভাপতি ও খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিনকে ম্যানেজ করে উক্ত কেন্দ্রটি দখলে নেন।আর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে রাতের অন্ধকারে জামায়াতের সুরা সদস্যদের নিয় নিয়মিত সেখানে নানান ধরনের নাশকতার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই আমির লেবু, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটিও দখল করে জামায়াত ইসলামির বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে মর্মে এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ। সরকারী ত্রান মন্ত্রানালয়ের ভবন দখল করে মাঠে কয়েক শতাধিক গাছ লাগানো হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও কিছুই বলতে পারেন না।
সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ তৈরি করার নির্দেশ দিলেও – জামায়াত নেতা শিক্ষা বান্ধব সরকারকে বৃঙ্গাগুলি দেখিয়ে খেলার মাঠে কয়েক শতাধিক বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করেছে। প্রতিষ্ঠানের মাঠে গাছ লাগানোর ফলে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত ও শাররীক কসরতের ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় অবিভাবকগন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি শহিদ মিনারের সামনের গাছের চারা লাগানোর কারনে ফুল দিতে পারবেন না সেখানে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লেবু নাশকতার লক্ষে দোহলপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় জামায়াতের সুরা সদস্যদের সাথে নিয়ে রাতের আধারে পরিকল্পনা করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্চুম শাহ বলেন, দোহলপাড়া আশ্রয় কেন্দ্র ২০০৫ সালে ত্রান মন্ত্রানালয়ের অর্থায়নে দ্বিতল ভবন স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রের মাঠে গাছ লাগানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। ত্রান মন্ত্রানালয়ের জমিতে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো নিয়ম প্রসঙ্গে তিনি কিছুই বলতে পারেনি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সরকারী ত্রান মন্ত্রানালয়ের জমিতে প্রতিষ্ঠানের জন্য দেয়া হলেও গাছ লাগানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহসান হাবিবকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লেবু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দায়সারা ভাবে বলেন, দুপুরে প্রচন্ড রোদের কারনে বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ লাগানো হয়েছে। রাতের আধারে উক্ত প্রতিষ্ঠানে জামায়াতের মিটিং করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের জামায়াতের আমির হওযার কারনে একটি মহল মিথ্যাভাবে বিষয়টি ছরাচ্ছে।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগে খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট্য প্রশাসনের কর্তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন না করা হলে এর ভয়ানক মাসুল দিতে হবে উক্ত গ্রামসহ গোটা উপজেলাবাসীকে।