
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নতুন করে চার সাক্ষীর জেরার করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই চার সাক্ষী হলেন- ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা শেখ মকবুল আহমদ, আমিরুল ইসলাম, অমল কান্তি দে ও দুদক কর্মকর্তা চৌধুরী এম এন আলম। এখন এই চার সাক্ষীকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জেরা করতে পারবেন।
রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে গত ২১ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ সাক্ষীর জেরার করার অনুমতি দিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ৮ জুন পাঁচ সাক্ষীর জেরার করার অনুমতি চেয়ে আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এই নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৫-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে।
দুদকের পক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।