নিজস্ব প্রতিবেদক : নারী শ্রমিকদের স্বার্থে ১০টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে নারী শ্রমিক সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নারী শ্রমিক কণ্ঠের সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
‘২০২০ সালের মধ্যে সকল কর্মস্থল ও ট্রেড ইউনিয়নে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত কর, নারী শ্রমিকের কণ্ঠের অঙ্গীকার, চাই সমতা ও মর্যাদার অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে এ সম্মেলনের আয়োজন করে নারী শ্রমিক কণ্ঠ।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ও সভাপতি নারী শ্রমিক কণ্ঠের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য শিরিন আখতার।
ঘোষিত ১০ কর্মসূচি হলো- পারিবারিক-সামাজিক, কর্মস্থল-সহকর্মী ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল বাধা অপসারণ করে ২০২০ সালের মধ্যে সকল স্তরে এক-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে এবং ২০৩০ সালে ৫০:৫০ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে শ্রমজীবী মানুষের বিশেষ করে নারী শ্রমিকের মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি ও শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সকল শ্রমশক্তি নির্বিশেষে অর্থনৈতিক ন্যায্য গড়ে তোলা।
শ্রমজীবী মানুষের আয় বৃদ্ধিসহ সামাজিক সুরক্ষা, পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য উন্নতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমশক্তির মধ্যে নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা তৈরি।
নারীর জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে মাতৃত্বকালীন সহযোগিতা এবং নারীর প্রতি নেতিবাচক ও অশালীন দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পথ তৈরি করা।
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও সহিংসতা রোধে শ্রমজীবী নারী, নারী আন্দোলনের সংগঠক, শ্রমিক সংগঠনসহ রাজনৈতিক-সামাজিক—সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে প্রচারাভিযান কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
ট্রেড ইউনিয়নে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং নারী-পুরুষ শ্রমিকের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা। প্রতিষ্ঠিানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার সুরক্ষায় আইন পদক্ষেপ পরিচালনা করা।
শ্রমবাজারে নারী শ্রমিকের স্থায়ী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা ও বাস্তবায়ন। সকল স্তরের নারী শ্রমিকের অর্জনসমূহ দেশীয়-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা।
সম্মেলনে অংশ নেন সারা দেশ থেকে আসা শ্রমজীবী নারী, শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক, অধিকার কর্মী, শ্রমিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।