নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন লিটন দাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এবারের লিগে ৫০০ বা এর বেশি রান আছে আরো ছয়জনের- এনামুল হক বিজয় (৫৯৬), মুমিনুল হক (৫৮৪), শামসুর রহমান (৫৮০), জাকির হাসান (৫৩৩), নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৩১) ও নাঈম ইসলাম (৫২৭)। এর মধ্যে নাঈমের ১০ ইনিংস ছাড়া বাকিরা খেলেছেন ১৬ ইনিংস করে। নাঈমের দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ উঠতে পারেনি সুপার লিগে। নাঈমও তাই থেমেছিলেন প্রথম পর্বে।

প্রথম পর্বে লিগ শেষ হয়ে যাওয়া জাতীয় দলের বাইরে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাটও হেসেছে এবারের লিগে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ১১ ইনিংসে ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ৪৯০ রান। গড় ৪৯। প্রথম পর্বে সবচেয়ে বড় চমকটা দেখিয়েছেন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির রবিউল ইসলাম রবি। ২৬ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান ১১ ইনিংসে ৪১.৫৪ গড়ে রান করেছেন ৪৫৭। দুটি সেঞ্চুরিই করেছেন ব্যাক-টু-ব্যাক।
ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন লিটন দাস। লিগ শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা বিশের মধ্যেও ছিলেন না! উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান এবারের লিগে ফিরেছেন চেনা ছন্দে। লিগ শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই!

গত লিগে ১৫ ইনিংসে ২৮.৮৫ গড়ে ৪০৪ রান করেছিলেন লিটন। এবার ১৪ ইনিংসে রান করেছেন গতবারের প্রায় দ্বিগুণ, ৭৫২। গড় ৫৩.৭১। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুটি। দুটি ইনিংসই আবার এক রানের কম-বেশি, ১৩৫ ও ১৩৬। হাফ সেঞ্চুরি আছে ৫টি।

লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ রান প্রাইম দোলেশ্বরের মার্শাল আইয়ুবের। ১৬ ইনিংসে ৪৪.০৬ গড়ে ৬৬১ রান করেছেন ২৮ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরি না থাকলেও হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। সমান ইনিংসে ৬৪১ রান করে তিনে দোলেশ্বরের আরেক ব্যাটসম্যান ইমতিয়াজ হোসেন। ৪২.৭৩ গড়ে এই রান করতে এই ওপেনার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুটি।

১৬ ইনিংসে ৬৩০ রান করে চারে আছেন প্রাইম ব্যাংকের মেহেদী মারুফ। গড় ৪৫.০০। তার সেঞ্চুরি দুটি, হাফ সেঞ্চুরি ৪টি। ১৬ ইনিংসে ঠিক ৬০০ রান করে পাঁচে থেকে লিগ শেষ করেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা শাহরিয়ার নাফীস। দোলেশ্বরের হয়ে ৪২.৮৫ গড়ে এই রান করতে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।