নীলফামারীতে গৃহবধুকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

ক্রাইমরিপোর্টার,নীলফামারী ॥ ফারহানা বেগম (২০) নামের এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুছা মোতাপাড়া গ্রামের শ্বশুড়বাড়ির বসতঘর হতে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহটি ঘরে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনার পর বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে নিহত গৃহবধুর শ্বশুর আব্দুস সবুর, শাশুড়ি মাহমুজা বেগম, ননদ ছকিনা বেগম ও দেবর জিয়াউর রহমান।
নিহত গৃহবধুর স্বামী মাজেদুল ইসলাম একটি তৈরী পোষাক কারখানায় কর্মরত থাকায় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিল।
অভিযোগ মতে, গত দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের মুছা নয়াপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে ফারহানা বেগমের সঙ্গে মুছা মোতাপাড়া গ্রামের আব্দুর সবুরের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বিয়ে হয়েছিল।
এলাকাবাসী জানায় স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে তার স্বামী মাজেদুল ঢাকায় থাকতো। গত ২৫ মে মাজেদুল তার স্ত্রী ও ছয় মাস বয়সের মেয়ে মিতি বেগমকে তার বাবা মার বাড়িতে রেখে পুনরায় ঢাকাস্থ্য কর্মস্থলে ফিরে যায়।
এরমধ্যে ফারহানার গলার সোনার চেন তার ননদ চুরি করে। এ নিয়ে ফারহানার সঙ্গে ননদ ছকিনা বেগমের বিবাদ সৃস্টি হয়। ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার (২ জুন) রাত ১০টার দিকে তারা ফারহানাকে বেধরক পিটায়। এতে ফারাহানা তার কোলের সন্তান সহ শ্বশুড়বাড়ি হতে বাবার বাড়ি তিন কিলোমিটার অদুরে চলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে পুনরায় ধরে এনে ঘরে ভেতর আটকিয়ে রাখে তারা।
সকালে এলাকাবাসী দেখতে পায় ওই বাড়ির ঘরে ফারহানার মরদেহ একটি টেবিলের উপর দুই পা ভাজ করা অবস্থায় এবং গলায় ওড়না দিয়ে তীরে ঝুলছে। এলাকাবাসীর ধারনা মতে তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখে সকলে পালিয়ে যায়।
ফারহানার বাবা গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে মেয়ের শাশুড়ি এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করে আরো জানায় মেয়ের স্বামীকে ঢাকায় মোবাইল করে ঘটনা জানানোর পর হতে তারও মোবাইল এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। যা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। তা না হলে বাড়ির লোকজন সব কিছু পালিয়ে যাবে কেন। মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।