
ক্রাইম পেট্রোল ইনভেষ্টিগেশন এজেন্সির রিপোর্টঃ- পাবনা জেলা বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ষড়যন্ত্রের স্বীকার দাবী এলাকার সাধারণ জনগনের। সূত্রে জানা যায়, রেজাউল হক বাবুকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরতে চাই। গত ৩০ শে অক্টোবর “পাবনামেইল ২৪ ডটকম” সংবাদে শিরোনাম করেন “বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মা-মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক,মেয়ের আত্মহত্যা”। গত ০২ নভেম্বর “সংবাদ” প্রতিবেদন করে “রুপা আত্মহত্যার নেপথ্যে চেয়ারম্যান”। “নয়াদিগন্ত” বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে স্কুলছাত্রী”। প্রতিবেদনটি ০৫ ই নভেম্বর ২০২২ প্রকাশিত হলেও ০৬ ই নভেম্বর ২০২২ নয়াদিগন্ত বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ প্রকাশিত হয়। ০৭ ই নভেম্বর ২০২২ “দেশ দর্পণ” পত্রিকার শিরোনাম “পাবনার বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার সুনাম নষ্টের অভিযোগ”।
যে ব্যক্তিকে নিয়ে এতো ঘটা করে বাংলাদেশের শীর্ষস্থয়নীয় পত্রিকা গুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তিনি একজন সাধারণ মানুষ আঙ্গুরী বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আঙ্গুরীর বাবার বাড়ী পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামে।
আঙ্গুরী ক্রাইম পেট্রোল বিডিকে বলেন, আমার বাবার ঘরে শান্তিতে বসবাস করতে পারিনি। আমার সৎমা আমাকে খুব যন্ত্রনা দিতো। বাবা উপায় বুদ্ধি না পেয়ে ১২-১৩ বছর বয়সে আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। স্বামীর সংসারে গিয়ে প্রথম থেকেই স্বামীর সাথে আমার বনিবনা ছিলো না। প্রায় সময় আমার স্বামী আমাকে মারধর করত। হঠাৎ একদিন আমার স্বামী আমার সাথে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করে। আমি বিধবা অবস্থায় দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকার দক্ষিণখানে তোফাজ্জল চেয়ারম্যানের বাড়ীর আশেপাশে বসবাস শুরু করি। আমরা জানতে চেয়েছিলাম ঢাকায় এসে আপনি কী করতেন? আঙ্গুরী জানান, আমি গার্মেন্টসে চাকুরী করেছি। আঙ্গুরীর দাবী দীর্ঘ একযুগ আমার ভালোই কেটেছে। হঠাৎ গত ১৫/০৯/২০২২ ইং তারিখে আমার বড় মেয়ে রূপা(২০) কে বাসায় রেখে আমার ছোট মেয়ে নূপুরের বাসায় নাতনিকে দেখতে যাই। সকালে এসে বাসার দরজার সমনে ১ ঘন্টা দারিয়ে থাকি। দীর্ঘক্ষণ দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ভিতরের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাসার মালিকে ডেকে আনি। আশেপাশের ভাড়াটিয়া প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে বাড়ীর মালিকের কাছে থাকা চাবি দ্বারা দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে আমার মেয়ের শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখি পশ্চিম পাশের জানালার গ্রিলের সাথে ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার বিষয় থানা পুলিশকে জানালে দক্ষিণখান থানা থেকে পুলিশ এসে আমার মেয়ের মরদেহ নিয়ে যায়।
আমরা দক্ষিণখান থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিজিয়া খাতুনের কাছে জানতে পারি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সুরাহাতাল রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
অথচ আঙ্গুরী তার মেয়ে রূপার আত্মহত্যার ১ মাস ২৩ দিন পরে মহামান্য আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ৫৬৫/২০২২ তারিখ ৮/১১/২০২২।
একটি আত্নহত্যা ও ১টি হত্যা মামলার অনুসন্ধানে রেজাউল হক বাবুর মুখোমুখি ক্রাইম পেট্রোল বিডির টিম। বাবু চেয়ারম্যান কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম কে এই আঙ্গুরী বেগম কেনো আপনার নামে মিথ্যাচার। বাবু চেয়ারম্যান বলেন, আমি আমার বিষয়ে মিথ্যাও বলতে পারি।আপনারা এলাকার সাধারণ জনগন ও রূপার আত্নীয়-স্বজনের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন আমি কেমন লোক।
আমরা আঙ্গুরীর ভাসুর আনিস এর কাছে যাই সে আমাদের বলেন, আঙ্গুরী একজন খারাপ মহিলা ছিলো। আমার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন আঙ্গুরীর কারণে আত্মহত্যা করেছে। আপনারা আরও জানতে পারেন আমাদের প্রতিবেশি কালাচান এর সাথে আঙ্গুরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো সে কারণে কালচান আত্মহত্যা করেছে।
সততা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কালাচানের বাড়ীতে গেলে কালাচানের বৃদ্ধা মা কেঁদে কেঁদে বলেন, জানি না আমার ছেলের সাথে কি হয়েছে । তবে উপস্থিত একজন ইউপি মহিলা সদস্য আঙ্গুরী সাথে কালাচানের প্রেমের সম্পর্ক ও আত্নহত্যা নিশ্চিত করেন।
এলাকার সাধারণ জনগন আঙ্গুরীর বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
আমরা রেজাউল হক বাবুর সম্পর্কে বেড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাঃ সবুর আলী সাহেবের কাছে জানতে চাই, বাবু চেয়ারম্যান জনগণের কল্যাণে কতটুকু উদারতা দেখিয়ে কাজ করে থাকেন? তিনি আমাদেরকে বলেন, নিসন্দেহে বাবু চেয়ারম্যান একজন ভালো মনের মানুষ। পত্র পত্রিকায় যা লেখালেখি হচ্ছে তা মোটেও শোভনীয় নয়। উপজেলায় অনেক মহিলারা কাজ করে এমনটা কখনো হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, আঙ্গুরী বেগম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে ভালোবাসার জালে বন্দী করে অর্থ পেয়ে থাকেন। আঙ্গুরী আমাদেরকে অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশ করেছেন।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখতে চোখ রাখুন youtube.com/CrimePatrolBD