
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার সকালে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিপিআইয়ের প্রধান নির্বাহী সিজার কনসিং এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা হ্যাকিং নয়, বরং ব্যাংকের অভ্যন্তরীন সমস্যা। যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন কিংবা জমা দেখানো হয়েছে, আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এগুলো সংশোধণ করা হবে।
বিপিআইয়ের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। ২০১৬ সালের ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব অ্যাকাউন্টে জমা আছে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি পেসো।
ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে অস্বাভাবিকভাবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উধাও হয়ে গেছে। আবার অনেক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে একাধিকবার অর্থ জমাও হয়েছে। সফটওয়্যারের ত্রুটির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার সকালে দ্য ব্যাংক অব ফিলিপাইনস আইল্যান্ডের (বিপিআই) প্রধান নির্বাহী বিষয়টি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপিআইয়ের গ্রাহকরা দাবি করেন তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে চার হাজার পেসো থেকে এক লাখ পেসো পর্যন্ত উধাও হয়ে গেছে। অথচ তারা এ অর্থ উত্তোলন করেননি। আবার কারো কারো অ্যাকাউন্টে একাধিকবার অর্থ জমা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপর বিপিআই কর্তৃপক্ষ সব ধরণের ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর আবার গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, তারা এখনে নিজেদের অ্যাকাউন্টে কী পরিমাণ অর্থ আছে তাও দেখতে পাচ্ছেন না।