বিতীয় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়ন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার দুপুর রাজধানীর আগারগঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে মো. আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সমাজকল্যানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মতো সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি আমরা এ মূহুর্তে আর খুঁজে পাইনি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিনিই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয়।

তিনি বলেন, একজন মানুষ দল করেও সর্বজনের কাছে শ্রদ্ধেয়। রাষ্ট্রপতিতো দলের রাষ্ট্রপতি নয় তিনি হলেন দেশের রাষ্ট্রপতি। কাজেই আমরা ওই ধরনের একজন মানুষকে খুঁজে নিয়েছি।

আব্দুল হামিদ দুই বারের মাননীয় স্পিকার এবং সাত বার ইলেকটেড সংসদ সদস্য উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি (আব্দুল হামিদ) বাংলার থাঁটি বীর পুরুষ এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তাকে আমরা চয়েস করেছি দেশের মানুষ গ্রহন করেছে। দেশের জনগনের চিন্তা ভাবনা, তাদের চোখের ভাষা, মনের ভাষা সেই দৃষ্টিতে মো. আব্দুল হামিদই এই সময়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্রপতি।

সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারিতে আমাদের কোন কর্মসূচী নাই।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ইসির কাছে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি।

১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে । তবে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৩ এপ্রিল। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।