বিহারী ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার মিরপুর-১১ নম্বরের কাশ্মিরী পল্লির বিহারী ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

রোববার সকাল ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে বিহারীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও বিকেল ৩টার দিকে সেখানে আবারও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান মূলত সিটি করপোরেশনের। অনাকাঙ্খিত যেকোনো ধরনের ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।’

এ বিষয়ে কথা বলতে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ দাদন ফকিরের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ক্যাম্পের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিহারী ক্যাম্পে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের সভাপতি মো. সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ‘আদালতের রায় আমাদের পক্ষে ছিল। আমাদেরকে কোনো অগ্রিম নোটিশ না দিয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযানে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নেই।’

তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর-ই-মাওলা বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেখানে অবাঙালি পরিচয়ে বাঙালিরা বসবাস করছিল।

অভিযানে ২০ থেকে ২৫টি দুই ও তিন তলার অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদকৃত জায়গায় সিটি করপোরেশন নর্দমা, ফুটপাত ও সড়ক প্রশস্থকরণের কাজ করবে।

অভিযানে স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) লে. কর্নেল এম এম সাবের সুলতান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) লে. কর্নেল মো. আজাদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মো. শরীফ উদ্দিন এবং অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সায়মা আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।