
ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অসহায়ভাবে হেরেছে পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল সরফরাজ আহমেদের দল।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসারদের তোপে পুড়ে ২১৯ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের অল্প পুঁজির সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তাদের ১৯ রানে হারিয়েছে আনপ্রেডিক্টেবলরা।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯ রানের পর পাকিস্তান ইনিংসে বৃষ্টি শুরু হয়। ডিএল মেথডে ওই সময় দলটির দরকার ছিল ১০১ রান। বৃষ্টির জন্য আর খেলা না হওয়ায় ১৯ রানে জয় পায় পাকিস্তান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজহার আলি আর ফখর জামান পাকিস্তানের শুরুটা দারুন করেন।দলীয় ৪০ রানের মাথায় ফখর জামান আউট হয়ে যান ৩১ রান করে। অভিষিক্ত ফখরই পাকিস্তানের রান এগিয়ে দেন। এরপর ১ রান যোগ করে আজহার আলিও আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৯ রানে।
এরপর দলীয় ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। বাবর আজম এক পাশ আগলে রেখে ঠিকই পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শোয়েব মালিক। বাবর ৩১ এবং শোয়েব মালিক ১৬ রানে থাকতেই নামে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি না থামায় ডিএল মেথডে জয় পেয়ে যায় ২০ ওভারের বেশি ব্যাটিং করে ফেলা পাকিস্তান।
বল হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে মরনে মরকেল একাই ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল হতাশার। দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ডি ভিলিয়ার্সের দল। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ইমাদ ওয়াসিমের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা। এরপর মোহাম্মদ হাফিজের বলে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট কুইন্টন ডি ককও। দলীয় ১১৮ রানেই গুরুত্বপূর্ণ ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই সময় বিপদে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানতে থাকেন ডেভিড মিলার। তার ব্যাট থেকে অপরাজিত ৭৫ রান না আসলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো প্রোটিয়াদের। তার সঙ্গে ক্রিস মরিসের ২৮ এবং কাগিসো রাবাদার ২৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বল হাতে পাকিস্তানের হাসান আলী তিনটি, জুনায়েদ খান ও ইমাদ ওয়াসিম দুটি করে এবং মোহাম্মদ হাফিজ একটি উইকেট নেন। অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য হাসান আলী ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।