যশোরের ভবদহের পানির চাপে অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়ায় যশোর-খুলনা মহাসড়ক ধসে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
ওই যানজটে দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েকশ’ যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা দু’একটি চলাচল করছে তাও ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের এই অংশ পার হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুওে সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী যানবাহন ধসে যাওয়া সড়ক পার হওয়ার সময় হেলেদুলে পড়ছে। দুর্বল গাড়িগুলো দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। রাস্তায় ছয় কিলোমিটারব্যাপী যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বাসের চালক মুরাদ হোসেন বলেন, এখনো জ্যামে আটকে আছি। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলে যাত্রীরা বকাঝকা শুরু করবে। তারাও গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চেয়ে আছে।
তিনি বলেন, যাত্রী নিয়ে খুলনায় পৌঁছে আবার খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে যশোর বিমানবন্দরে আসতে হবে। সেকেন্ড ফ্লাইটে যাত্রী পৌঁছাতে হবে।
ঈগল পরিবহনের চালক দোলন হোসেন বলেন, দুই ঘণ্টা আটকে আছি। তীব্র গরমে যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছে। কখন ঢাকায় পৌঁছাব জানি না।
ঢাকাগামী যাত্রী সজল মাহমুদ বলেন, এখানেই যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাই তবে কবে ঢাকায় পৌছাবো? জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু সময় মত পৌঁছাতে না পারলে কোনো কাজ হবে না।
ধসে যাওয়া সড়ক পরিদর্শনে এসে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মিয়া জানান, ধসে যাওয়া স্থানে ইট ফেলা হচ্ছে। কিন্তু পানি জমে থাকার জন্য তা কাদায় তলিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পানি স্রোতে ইট উজানে হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি বন্যায় জেলার তিনটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এ তিন উপজেলার শত শত কাঁচা-পাকা রাস্তার একই অবস্থা। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য বলেছি। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ইকবাল সরেজমিনে রাস্তা দেখতে বের হন। তিনি একই সময়ে সেখানে হাজির হন।
মহাসড়ক দেখে তিনি বলেন, গত রোববারের ভারী বৃষ্টিতে এলাকা জলাবদ্ধ হওয়ায় মহাসড়কে পানি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন পাম্প লাগিয়ে পানি শুকিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হবে। এ কাজ করতে একটু সময় লাগবে।