
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হলেও সরকারি খাদ্য গুদামে ক্রয় বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় বি ত কৃষকরা বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় এবছর উপজেলায় ২ হাজার ৪ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। আবাদ করা খেতে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করা হয় প্রায় ১০ হাজার মে:টন গম। উল্লেখিত পরিমান জমিতে গম চাষের সংখ্যা ৫ হাজার ৩ শ’ ৯৪ জন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমূল্য কুমার সরকার জানান, গম ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৯৬ মেট্রিক টন।
১০ ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সরে জমিন তদন্ত স্বা-পেক্ষে প্রকৃত গম চাষি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কৃষকের নামের তালিকা হতে গত ২৮শে মে লটারীর মাধ্যমে ৫৯৬ জন কৃষকের অনুকূলে গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ প্রাপ্ত কৃষকরা জাতিয় পরিচয় পত্র এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদর্শণ করে জয়মনির হাট খাদ্য গুদামে গম জমা দিচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার জয়মনিরহাট সরকারি খাদ্য গুদামে গিয়ে গম জমা দিতে আসা পাইকেরছড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু, খামার আন্ধারিঝাড় গ্রামের আব্দুল জলিল, নলেয়া গ্রামের মন্টু মিয়া, বাগভান্ডার গ্রামের সোলায়মান আলী প্রমূখ কৃষকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে, তারা সাবলিল ভাবে গম জমা দিতে পাচ্ছেন। অপর দিকে লটারীতে নাম না উঠা পাথরডুবী গ্রামের হাসমত আলী, মইদামের জলিল, সোনাহাটের বেলাল হোসেন প্রমূখ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে, তারা সবাই প্রান্তিক চাষি। অনেক খরচ করে গম চাষ করেছেন। সরকারি গুদামে তারা গম জমা দিতে পারবেন কি-না; গুদাম কর্মকর্তার কাছে তা জানতে এসেছেন। কিন্তুু গুদাম কর্মকর্তা তাদের গম নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এই কারনে তারা সরকারি ক্রয় বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানান।
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নূর-মোহাম্মদ জানান, গুদামে গম নিয়ে যারা আগে এসেছেন তাদের পরিচয় পত্র ও কৃষি কার্ড দেখে সিরিয়ালি গম জমা নেয়া হচ্ছে।