মন্ত্রী-এমপিদের বেতন বাড়লে শ্রমিকদের কেন নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিদের বেতন বাড়লে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন কেন বাড়বে না- এ প্রশ্ন করতেই পারেন শ্রমিকেরা।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৫তম দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, শুরুতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ছিল ৫৭০ টাকা। তা থেকে ধাপে ধাপে এখন বেতন অনেক বেড়েছে। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ অর্জন হয়েছে। তবে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামটা যে বেড়েছে, সেদিকটাও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের বেতন বেড়েছে। কাজেই গার্মেন্টস শ্রমিকেরা প্রশ্ন করতেই পারেন, কেন তাদের বেতন বাড়বে না? অবশ্যই এ প্রশ্ন তারা করতে পারেন। তবে, বেতন কত বাড়বে তা আলোচনার বিষয়।

তিনি বলেন, অনেকে বলছেন শ্রমিকেরা বাড়াবাড়ি করছেন। কিন্তু কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি করেছেন কারখানা মালিকেরা। শ্রমিকেরা মুচলেকা দেননি, দেবেনও না।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আশাকরি, ২০১৮ সালের প্রথম দিকেই ওয়েজ বোর্ড হবে। শ্রমিক ছাড়া গার্মেন্টস চলবে না। তেমনি মালিক না থাকলে গার্মেন্টস হবে না। তবে অবশ্যই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, আইন ও বিধি-বিধানের বাইরে গিয়ে কোনো আন্দোলন করলে তা সফল হয় না। তাই বেতন বাড়ানোর দাবিতেও আন্দোলন, আইন ও বিধি-বিধানের মধ্যে থেকেই করতে হবে। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করা যাবে না।

ফ্রান্সের বৃহৎ শ্রমিক সংগঠন সিজিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফেবিয়েন ক্রু বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব অনেক। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। শ্রমিকের শ্রমের মূল্যের চেয়ে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু তার সবটুকুই নিচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সংগ্রাম, আমাদেরও সংগ্রাম।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আমিরুল হক আমিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাইমুল হাসান জুয়েল, সদস্য ড. ওয়াজেদুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ ফেডারেশনের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার, সাদিয়া পারভীন প্রমুখ।