বাগেরহাট প্রতিনিধি : সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝ বরাবর প্রায় দুইশ মিটার ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে দেবেও গেছে।
শরণখোলা উপজেলার লাকুড়তলা বাজার সংলগ্ন খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলায় রোববার রাতে এ ফাঁটলের সৃষ্টি হয়। এই খালটি সড়কের পাশেই।
ফাঁটল সৃষ্টি হওয়ার পর সড়কের রায়েন্দা থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা পর্যন্ত ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
যে কোনো মুহূর্র্তে বিশাল এলাকা দেবে যেতে পারে বা ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, সড়কের দু’পাশের লাকুড়তলা ও উত্তর কদমতলার মানুষ বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গোলাম মোস্তফা মধু নামের এক ঠিকাদার রাজেশ্বর গ্রামে বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের একটি সড়কে বালু ফেলেন। এজন্য তিনি ১০/১২ দিন আগে মহাসড়কের পাশের একটি সরু খালে ড্রেজার স্থাপন করে অনবরত বালু তোলেন।
ড্রেজারটি ভাড়া করেন তিনি মংলা উপজেলার ফারুক হাওলাদার নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। ঠিকাদারের বালু তোলার কাজ শেষ হলে স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস খান, হেলাল খান ও মিজান ফরাজী তাদের বাড়ির কাজের জন্য ওই একই এলাকা থেকে আবারো বালু তোলার কাজ শুরু করেন।
এলাকাবাসী জানায়, একই স্থান থেকে অতিরিক্ত বালু তোলায় সোমবার রাতে সড়কের প্রায় দুইশ মিটার এলাকায় ফাটলের সৃষ্টি হয় ও দেবে যায়।
স্থানীয় অধিবাসী সরোয়ার মোল্লা বলেন, ‘সড়কের এ অবস্থা দেখে সোমবার সকালে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে বালু তোলা বন্ধ করে দেয়।’
এ ব্যাপারে ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা মধু ড্রেজারটি ভাড়ায় এনে বালু তোলার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘পরে কে বা কারা বালু ডোলার কাজ করেছেন তা আমার জানা নেই।’
বালু উত্তোলনকারী অপর তিন ব্যক্তি ইলিয়াস খান, হেলাল খান ও মিজান ফরাজী এবং তাদের নিয়োগ করা শ্রমিকরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, রাস্তার পাশের খাল থেকে বালু তোলার কারণে সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে ও খানিকটা দেবে গেছে। ওই রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সড়ক সংস্কার শুরু হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’