নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি মুফতি মঈনের পক্ষে তার বড় ভাই নাজিম উদ্দিন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামীকাল বুধবার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে মুফতি মঈনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। তিনি গতকাল সোমবার তার নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। ওই দিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পারসোনাল অফিসার অলিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ১২ জুন এ মামলায় জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সকলেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।
এ মামলার আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী ও মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ এবং প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে আছেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শত মানুষ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে যান।