মুরাদনগরে রোহিঙ্গা যুবককে ভূয়া জন্মসনদ দেয়ার দায়ে ইউপি সচিব ইসমাইল গ্রেপ্তার

ওসমান গনি সরকার, মুরাদনগর (কুমিল্লা) উপজেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম- সনদ দেয়ার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন নামের এক ইউপি সচিবকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ইসমাইল হোসেন মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদে সচিব পদে কর্মরত ও কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গুনানন্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকা থেকে ওই ইউপি সচিবকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের ভুয়া পরিচয়ে জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে পাসর্পোট করতে এসে সেখানকার কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন ইয়াছিন নামের এক রোহিঙ্গা যুবক। পরে ওই রোহিঙ্গা যুবককে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিন জানায়, সে মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে।
সে তার চাচাতো ভাই ওসমানের সহযোগিতায় কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে ২ দালালের কাছে পাসপোর্ট করার কন্টাক্ট দেয়। পরে কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল গ্রামের ভুয়া ঠিকানায় রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিনের সকল কাগজপত্র তৈরি করে দেয়। এই ঘটনায় সে সময় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই রোহিঙ্গা যুবক কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়টির তদন্ত করতে গিয়ে ইউপি সচিব ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পায় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী তুফরীজ এটন বলেন, আমি সচিবকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়েছি। তারপর তাকে কেন এ অন্যায় কাজ করতে হবে। যারা টাকার বিনিময়ে এ জগন্য কাজ করেছে তাদেরকে অবশ্যই  শাস্তি পেতে হবে। কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া জানান, রোহিঙ্গা যুবককে জন্মনিবন্ধন দেয়ার মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইউপি সচিব ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।