জবি প্রতিনিধি : বাসের ধাক্কায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিয়া হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীরা সাদিয়া হত্যার বিচার দাবিতে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর তারা পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন এবং প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রাস্তায় অবস্থান করেন। এতে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় জন দুর্ভোগের।
আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক রাসেল বলেন, ‘আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে গ্রেপ্তার করার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। প্রশাসন ঘাতক গাড়ি শনাক্ত করতে পারলেও খুনিকে শনাক্ত করতে পারেনি। তাই আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’ খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন আরো কঠিন রূপ নিতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত গাড়ি ভাঙচুর করিনি। তবে আমদেরকে প্রশাসন আরো কঠিন হতে বাধ্য করলে এর ফল ভালো হবে না। আমরা আবার ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এরপরও খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে আগামীকাল আমরা আবারো রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।’
এর আগেও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল ইসলাম। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় বাসের ধাক্কায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া হাসান নিহত হন।এ সময় তার সঙ্গে থাকা মা শাহিন সুলতানাও আহত হন।