Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেওয়ায় এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে স্বশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ২ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউশনকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় আদালতে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিটর হায়দার আলী ও ঋষিকেষ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রসিকিউটর হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না। এটা আইন বিরুদ্ধ কাজ।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যাদের গাফিলতি আছে তা খতিয়ে দেখতে আদালত আমাদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।’
‘মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন গত ১০ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হয়। প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের নজরে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ৭ মাস আগেই তিনি মারা গেছেন।
একাত্তরের হত্যা, গণহত্যা মামলার আসামি ওয়াজ উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের অক্টোবরে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। শুরু থেকেই পলাতক দেখিয়ে তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার শুরু করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে দেখা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে ২০১৬ সালের ৭ মে ওয়াজ উদ্দিন মারা গেছেন। তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালের আদেশ তার মৃত্যুর ৯ দিন পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে আসে। দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এই মামলার অপর আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন।
