যানজট স্থায়ীভাবে নিরসনে ১২ দফা সুপারিশ করেছে সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার যানজট স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের কাছে ১২ দফা সুপারিশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ঢাকা জেলা ও মহানগর কমিটি।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ সুপারিশ জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুজনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি এম এন ইসলাম তাপন চৌধুরী, জেলা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসবাহ আলীম, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক যোবায়েরুল হক নাহিদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত প্রমুখ।

এম এন ইসলাম তাপন চৌধুরী বলেন, ‘যানজট ঢাকার একটি বড় সমস্যা। দিন যত যাচ্ছে সমস্যা ততই প্রকট হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুপারিশগুলো হলো- মহানগরের বাইরের গাড়িগুলো নির্দিষ্ট টার্মিনালে অবস্থান করবে, শহরের ভেতরে ঢুকতে পারবে না, পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান রাত ১০টার আগে শহরে ঢুকতে পারবে না, ফুটপাত বা রাস্তা দখল করে প্রাইভেটকার পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে, সর্বত্র জায়গা ও সময়ের মূল্য অনুসারে পার্কিং ফি নির্ধারণ করা, রাজউকের বিধি অনুসারে প্রতিটি মার্কেটের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা থাকতে হবে, যানজট সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে বিশেষ কিছু নম্বর ছাড়া সব প্রাইভেটকার চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি চালু করতে হবে, গণপরিবহন ব্যবস্থা জোরদার বা বৃদ্ধি করতে হবে, সমাজের সব মানুষকে গণপরিবহন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে এ ব্যবস্থাটিকে উন্নত করতে হবে, প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স সীমিতকরণ, আমদানির ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি ও কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে, আলোচনা সাপেক্ষে সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করতে হবে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সচিবালয়সহ অন্যান্য অফিস-আদালত বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, নতুন করে যেন ঢাকায় কালকারখানা না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে, উল্টো পথে গাড়ি চলাচল কঠোর হাতে দমন করতে হবে, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমান যে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে তার উন্নয়ন করতে হবে, দখল করা সব খাল দখলমুক্ত করতে হবে, ঢাকার চারপাশের নদী ও অভ্যন্তরীণ খালগুলো সংস্কার করে সমন্বিতভাবে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে, স্কুল-কলেজগুলোতে ভালো মানের বাস সার্ভিস চালু করতে হবে যাতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা একজনের জন্য একটি প্রাইভেটকার নীতি থেকে সরে আসতে পারে।