
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম তার সাক্ষ্য নেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
এ পর্যন্ত মামলাটিতে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষে সহায়তাকারী আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ফাহমিদা আক্তার রিংকি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়।
রিশার ওপর হামলার দিনেই তার মা রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশা মারা যাওয়ার পর হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়।
ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিল। তাকে ৩১ আগস্ট নীলফামারীর সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ওবায়দুলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের চতুর্থ দিন ৫ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রিশাকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে ওবায়দুল।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে।
ওবায়দুল দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। সে রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলাসের কর্মচারী।
প্রায় ৬ মাস আগে স্কুলের ড্রেস বানাতে রিশা মায়ের সঙ্গে বৈশাখী টেইলার্সে গিয়েছিল। সেখানে মানি রিসিটে দেওয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে রিশাকে উত্ত্যক্ত শুরু করে ওবায়দুল।