নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্বঘোষিত ২১ দফা দাবিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মকসূচি ঘোষণা করেন সংগঠন দুটির আহ্বায়ক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পাকিস্তান এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তারা পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকেও জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ঘোষিত নতুন কর্মসূচিগুলো হলো, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ২৫ নম্বর আগা সাদেক রোড, সিটি কলোনিতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ মিনারে, মুক্তিযুদ্ধে হরিজন সম্প্রদায়ের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, ২৬ নভেম্বর সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির তথ্য প্রকাশ, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা ও প্রতিনিধি সভা।
১৮ ডিসেম্বর ৩টায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, ২১ ডিসেম্বর ৩টায় ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের গণহহত্যা ও পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মতিঝিল সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশ এবং মতিঝিল থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত র্যালি।
চলতি মাসের শেষ থেকে শুরু হবে ‘গণযাত্রা’ শিরোনামে আটটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে সমাবেশ, রাজধানীসহ শহরগুলোতে পাড়া মহল্লায় পথসভা, জনসভা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভিডিও প্রদর্শনীসহ সারা দেশে সচেতনামূলক ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, ইসমত কাদির গামা, মো. আলাউদ্দিন মিয়া, ওসমান আলী, এসপি মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, কামাল পাশা চৌধুরী, কামরুল আনাম, বদরুদ্দোজা নিজাম, রুস্তম আলী, আবুল হোসেন, মহসীন ভূইয়া, সেলিনা আক্তার, হেদায়েত হোসেন প্রমুখ।