সিম নিবন্ধনে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় মালয়েশিয়া

সচিবালয় প্রতিবেদক : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে মালয়েশিয়া।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তাইব ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সহায়তা চান। বাংলাদেশও এ বিষয়ে মালয়েশিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

সাক্ষাৎ শেষে তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমি যখন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) কনফারেন্সে গিয়েছিলাম তখন মালয়েশিয়ার আইসিটি মন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ কীভাবে মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে সিম-রিম নিবন্ধনের বিশাল কর্মযজ্ঞ করতে সমর্থ হয়েছে এ বিষয়ে তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বাংলাদেশ যে বিশ্বের কাছে একটি মডেলে পরিণত হয়েছে, তারা জানতে আগ্রহী এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে। আইটিইউ সম্মেলনে মালয়েশিয়ান সরকারের প্রতিনিধিরা বারবার বলেছেন, তারা এটি (বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন) করতে চাচ্ছেন, কীভাবে শুরু করবেন ও কীভাবে সফলভাবে সমাপ্তি ঘটাতে হবে এ প্রক্রিয়ার মধ্যে তারা আটকে আছেন।’

তারানা হালিম বলেন, ‘তাকে (হাইকমিশনার) আমরা আশ্বস্ত করেছি, বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কীভাবে সিম-রিম নিবন্ধন করা হয়েছে এর প্রক্রিয়াগুলো এবং আমরা কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি সব কিছুর বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার যখনই আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইবে আমরা আমাদের জ্ঞান, ধারণা, কারিগরি দিকটি তখনই তাদের সঙ্গে শেয়ার করব। এ বিষয়ে যত ধরনের সহযোগিতা করা যায় তা করার আগ্রহ আমরা প্রকাশ করেছি।’

টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে আমরা বলেছি, ধর্মীয় উগ্রবাদের যে বিস্তার, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেগুলো ঘটে অনলাইনে। যেহেতু অনলাইনে ঘটে, কাজেই বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশ একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা সবাই এ বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তিনিও (হাইকমিশনার) এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।’

একীভূত হওয়া রবি ও এয়ারটেলের একটি বড় অংশের মালিকানা মালয়েশিয়ার কোম্পানির জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি মার্জারের পর আমরা যেটা আশা করছি সেটা হচ্ছে, নেটওয়ার্কের ব্যাপক বিস্তার ঘটাবে। সেখানে নতুন ইনভেস্টমেন্ট আসুক এবং আমরা চাই প্রত্যন্ত এলাকায় যাতে নেটওয়ার্কের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি এ মার্জারের মাধ্যমে বাজারে একটি ভারসাম্য এনেছি।’

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।