জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘সীমান্ত খুলে দেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাঁচান। না হলে বার্মা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি বলেন, মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় মদদে মুসলিম গণহত্যা চলছে। মুসলমান ও বিবেকবান হিসেবে তাদের রক্ষা করা আমাদের ওপর ফরজ। না হলে সরকারকে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিন, সীমান্ত খুলে দিন। গণহত্যা বন্ধ করতে বাধ্য করুন। না হলে বার্মা অভিমুখে আমরা লংমাচ করতে বাধ্য হবো।
মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, মুসলমান হিসেবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাঁচাতে আমাদের জন্য জিহাদ ফরজ। ওআইসি, জাতিসংঘ ভেঙে দিয়ে মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের দাবি জানান তিনি।
মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, সীমান্ত খুলে দিন, প্রয়োজনে তাদের জন্য জেলখানা তৈরি করে সেখানে রাখুন। জেলখানা করতে যা টাকা লাগে আমরা দেব। তাদের ভরণ-পোষণ সব ব্যবস্থাই আমরা করব।
তিনি বলেন, আহমদ শফীর নির্দেশে মাঠে নেমেছি, তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে বার্মা যেতে বাধ্য হবো।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর। জুমার নামাজ শেষে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমির সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল করে সংগঠনটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পল্টনমোড় থেকে দৈনিক বাংলামোড় পর্যন্ত উভয়পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় যানচলাচল। বায়তুল মোকাররমের আশপাশে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ। সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও ছিল। শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে হেফাজত।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাও. আবদুল হামিদ মধুপুরি, মাও. আবদুল লতিফ নেজামী, মাও. জাফরুল্লাহ খান, মাও. আহমদ আব্দুল কাদের, মুফতি তৈয়্যব, মাও. মহিউদ্দিন একরাম, মাও. জসিম উদ্দিন, মাও. ফজলুল কারিম কাসেমি, মাও. মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।