২১ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে এ বছরের একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি সোনার পদক, দুই লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র।

জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে এ বছরের একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে।

এবার যারা একুশে পদক পেয়েছেন তারা হলেন- ভাষা আন্দোলনে আ জ ম তকীয়ুল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম।

সমাজসেবায় নিরাপদ সড়কের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং অভিনয়ে হুমায়ূন ফরীদি (মরণোত্তর)।

শিল্পকলায় (সঙ্গীত) শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মো. খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে একুশে পদক পেয়েছেন মীনু হক ও নাটকে নিখিল সেন। চারুকলায় কালিদাস কর্মকার ও আলোকচিত্রে পদক পেয়েছেন গোলাম মুস্তাফা।

সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে মইনুল ইসলাম, ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী একুশে পদক পেয়েছেন।

পদক বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরনোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পুত্র ও কন্যাগণ এই পদক গ্রহণ করেন।

ভাষাসৈনিক আ জ ম তকীয়ুল্লাহর (মরণোত্তর) পক্ষে তার কন্যা সাংবাদিক ও কলামিস্ট শান্তা মারিয়া, মরহুম হুমায়ুন ফরীদি’র পক্ষে কন্যা সারারাত ইসলাম, মরহুমা অধ্যাপক জুলেখা হক’র পক্ষে কন্যা তৃষা হক, মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী’র পক্ষে পুত্র হায়দার জাহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন। সাংবাদিক রণেশ মৈত্র বিদেশে থাকায় তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন পুত্র প্রলয় কুমার মৈত্র।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম পদক বিতরণ অনুষ্ঠানট পরিচালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তদের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, জাতীয় সংসদের সদস্য, বিচারপতি, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ, কূটনিতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর বিশিষ্ট নাগরিকদের একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।