
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম ও দেশপ্রেম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীর প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। আজও তার লেখনী সমাজের অনাচার, অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রেরণা যোগায়।’
বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ অবিহিত করে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনের সকলক্ষেত্রে বিশ্বকবির অপরিসীম প্রভাব বিদ্যমান। তার উপন্যাস, কবিতা ও গানে গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতির সাথে সংলগ্নতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর আস্থা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক অনাবিল শান্তি ও স্বর্গীয় আনন্দের আবহ তৈরি করে।’
বিশ্বকবির সৃষ্টির মধ্যে প্রাণ-প্রকৃতি এক অনন্যরুপ ধারণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাহিরে স্বাতন্ত্র্যধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনাবিল সৃষ্টিতে একদিকে যেমন স্বজাতির মুঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, আবার অন্যদিকে তিনি জাতীয় জীবনের সব অচলায়তন ভেঙ্গে বিশ্বের অতি অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
অপর এক বাণীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোর্ত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন।’