আওয়ামী লীগ বিএনপি-জিয়া-খালেদা জিয়াকে অনুসরণ করে- মির্জা ফখরুল

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ভিশন ২০৩০ কর্মপরিকল্পনার মাধ‌্যমে বিএনপি আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করেছে বলে দলটি যে দাবি করেছে তা প্রত‌্যাখ‌্যান করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপিকে একটি ‘ভিশনারি দল’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করে না, বরং বরাবরই আওয়ামী লীগ বিএনপি-জিয়া-খালেদা জিয়াকে অনুসরণ করে রাজনীতি করেছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপিই প্রথম ভিশন দিয়েছিল। সুতরাং ভিশন প্রথম আওয়ামী লীগ দিয়েছে এবং বিএনপির ভিশন ২০৩০ আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করে করা হয়েছে বলে তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে একেবারেই অসত্য তথ্য।’

‘রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিএনপিই প্রথম ভিশন পরিকল্পনা প্রকাশ করে ২০০১ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে। পরে বহু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ আমাদের (বিএনপির) দর্শন ও রাজনৈতিক কর্মসূচিকে অনুসরণ করেছে। তাই আমরা (বিএনপি) আপত্তি নয়, বরং গৌরব অনুভব করি, বলেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভিশন দিলে তা বাস্তবায়ন করে না। তারা দলীয়করণ, লুটপাট, দুর্নীতি, অত্যাচার, অপশাসন, গলাবাজি ও ধাপ্পায় লিপ্ত। তাদের দিন বদলের ঘোষণা এখন করুণ পরিহাসে পরিণত হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্পায়ন, রাষ্ট্রব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে যে আধুনিকায়ন ইতিবাচক সংস্কার এসেছে, তা বিএনপি-জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার হাত ধরেই এসেছে। বাকস্বাধীনতা থেকে প্রায় সকল কিছুতেই বিএনপির যুগান্তকারী অবদান।’

বিএনপি যা বলে তা বাস্তবায়ন করে, মন্তব‌্য করে দলটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অতীতেও প্রমাণ হয়েছে ভবিষ্যতেও প্রমাণ হবে।’

বিএনপির ভিশন ২০৩০ নির্বাচনী ইশতেহার নয়, জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ভিশন ২০৩০ কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। অতীতেও আমরা করেছি। আগামীতেও যদি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারি, তাহলে সেই ভিশন বাস্তবায়ন করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা পরিবর্তনের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ এই ভিশন। এটা শুধু বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য নয়, অর্থনীতি-সমাজসহ প্রতিটি জায়গায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেইন, কাজী আবুল বাশার, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, বজলুল বাসিত আঞ্জু, মাওলানা আব্দুল মালেক, মোরতাজুল করিম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।