আগামী নির্বাচন করতে হলে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় আসতেই হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজের ভালো চাইলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ বের করতে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান। তা না হলে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলে সরকারকে সতর্ক করে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল’ নামের একটি সংগঠন।

মঈন খান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যদি নিজেদের মঙ্গল চায় তাহলে তাদের জন্য একটিমাত্র পথ খোলা আছে, সেটি হল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।’

‘আগামী নির্বাচন করতে হলে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় আসতেই হবে। যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধান আওয়ামী লীগকেই করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া এই সংকট সমাধান হবে না,’ বলেন তিনি।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমরা বিএনপির চেয়াপরপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বলীয়ান হয়ে এদেশে আবার বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব, যেমন করে করেছিলেন আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও কেউ অন্যায় ক্ষমতা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয় না। আন্দোলনের মাধ্যমে প্রয়োজনে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল চাই। এই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে।’

সকল রাজনৈতিক দল যাতে করে সমান সুযোগ-সুবিধা পায় নির্বাচনের আগে সেই ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পেছনে যেন প্রশাসন সাপোর্ট না দেয়, এমন নির্বাচন আমরা চাই। সমানে সমানে রাজনৈতিক খেলা খেলতে চাই। কারো সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে নয়। আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণের শক্তি।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রাক্তন সাংসদ আব্দুল গফুর ভূইয়া, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, জাসাসের সহসভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি আ ন ম খলিলুর রহমান প্রমুখ।