
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির উদ্দেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আগের মতো জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছি।
বিএনপির উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বর্তমানে শান্ত ও নিরাপদ আছে। প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য রয়েছে আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা শেষে সচিবালয় এলাকায় ভাঙচুরের চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহ অশুভ লক্ষণ। তবে জ্বালাও-পোড়াও করে, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণের রায় মেনে নিতে প্রস্তুত আছি আমরা।
স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ) মো. সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব স্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এইডস মুক্ত হবে, এ আশা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, পোলিও ও ধনুষ্টঙ্কারমুক্ত হয়েছে দেশ। সংক্রামক রোগের হার অনেক গুণ কমে গেছে। বাঙালি সব সময় জয় করতে জানে। আমাদের প্রত্যয় আছে, আমরা জয় করব। দেশে এইডস রোগী ও এইচআইভি সংক্রমণের হারও নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে অসচেতন হলে ও কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত না রাখলে দেশে দ্রুত হারে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সমস্ত কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ বিদ্যমান রয়েছে। এইডস প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অনেক কর্মসূচি চলমান আছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণসম্পর্কিত বিভিন্ন ভুল ধারণা এইডস রোগীদের ঘিরে অপবাদ ও বৈষম্য তৈরি করে। এসব দূর করতে হবে।