Share this:
সচিবালয় প্রতিবেদক : যৌতুক চেয়ে নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর আর যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে মারাত্মক জখম করলে দায়ী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন অথবা অন্যূন ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া যাবে।
এমন বিধান যুক্ত করে যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘১৯৮২, ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের যৌতুক আইন এক করে নতুন এ আইনটি করা হচ্ছে। এতে আগের আইন ও অধ্যাদেশগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে। আইনে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে যৌতুকের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে এখানেও সেটা বলবৎ থাকবে। বর বা তার পিতা বা মাতা কিংবা বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করলে তারা এ আইনের আওতায় পড়ে যাবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইনে কেউ যদি যৌতুক দাবি করে এবং কনেকে (নারী) আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে দায়ী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে জরিমানার অর্থ আদালত নির্ধারণ করে দেবেন।’
যৌতুকের দাবিতে কনের মারাত্মক অঙ্গহানি হলে নির্যাতনকারী দায়ী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এজন্য যাবজ্জীবন (অন্যূন ১২ বছর) কারাদণ্ড ও জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। আর সাধারণ অভিযোগ হলে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।’
‘আইনে আসামির এক থেকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন আদালত। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে বাদীর কিংবা অভিযোগকারীর এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে,’ জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি আরো বলেন, ‘যৌতুকের মামলায় ভুক্তভোগীর ক্ষতি বিবেচনায় বরকে অর্থদণ্ড এবং কনের আমৃত্যু ভরণপোষণ করার দায়িত্ব নেওয়ার রায় চাইলে আদালত দিতে পারবেন।’
১৯৮০ সালে করা বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতন বা আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য শাস্তির কথা বলা নেই।
