
নিজস্ব প্রতিবেদক : আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় আসামিদের এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গুল্ক গোয়েন্দা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রমনা থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামি দিলদার আহমেদকে এবং গুলশান থানায় করা পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আসামি গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২ অক্টোবর পৃথক দুই আদালত তিনটি মামলায় আসামিদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, অর্থপাচারের অভিযোগে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এসব মামলায় চলতি বছরের ২২ ও ২৩ অক্টোবর ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২৪ অক্টোবর আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অর্থপাচারের এসব মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও ধার্য তারিখে তারা হাজির না হওয়ায় আদালত ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চলতি বছরের ৬ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এদিকে সাফাত আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু শাখা থেকে প্রায় ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। জব্দকৃত এসব স্বর্ণালঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় অর্থপাচারের অভিযোগে ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে ওই পাঁচটি মামলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। এর আগে ৮ জুন আপন জুয়েলার্সের ওই তিন মালিকের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির পাঁচটি মামলা করা হয়।