
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইসির সংলাপে অংশ নেওয়া মানেই তারা নির্বাচনেও অংশ নেবে, আমাদের কাজের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
শনিবার ঢাকা মহানগরীর ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রতি বিএনপির আস্থা রয়েছে এবং তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।’
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবার নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে। রোববার ইসির চলমান সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে।
নূরুল হুদা বলেন, ‘সবগুলো রজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সুপারিশগুলো পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হবে। ইসির আওতায় আছে এমন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব। সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে কমিশন নিজেরা বসবে। তবে সব ধরনের সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠানো হবে।’
এদিকে, আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি। সিইসি কে এম নূরুল হুদা সকাল ৯টায় বেইলী রোডে সিদ্বেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরীর ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আজ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গুলশান কালাচাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মো. রফিকুল ইসলাম জিগাতলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগম কবিতা খানম ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মুসলিম মডার্ণ একাডেমি, এবং ব্রি জে শাহাদাত হেসেন চৌধুরী (অব.) মিরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদেরকে নির্ধারিত তারিখে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ছবি তুলে ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হতে হবে।
যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, অর্থাৎ যাদের বয়স ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর বা তার বেশি হবে এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তাদের ভোটার করা হচ্ছে।
কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ভোটার হওয়ার যোগ্য কেউ ইতোপূর্বে হালনাগাদে বাদ পড়ে থাকলে তাদেরকেও ভোটার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য কারো তথ্য সংগ্রহ করা না হয়ে থাকলে তারাও নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে তথ্য ফরম পূরণ করে ভোটার হতে পারবেন।
বাদ পড়া ভোটারদের ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের কপি, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা সার্টিফিকেটের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশেনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদপত্র, বাবা ও মার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ঠিকানা প্রমাণের স্বপক্ষে বাসা, বাড়ির ট্যাক্স প্রদানের রশিদ অথবা চৌকিদারের রশিদ অথবা যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কপি অথবা জমির দলিলের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে নিবন্ধন কেন্দ্রে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগরী ও এর আওতাধীন এলাকাসমূহের ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হয়েছে।