এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯

সচিবালয় প্রতিবেদক : বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান। ‘সারাদেশে অভিন্ন ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন। ছাত্রের সংখ্যা ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২। ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬২৭ জন। প্রশ্নফাঁসরোধসহ সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। গতবারের তুলনায় এবার ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এর মধ্যের ছাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৪১১ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ জন বেড়েছে। মোট ২৮ হাজার ৫৫১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৪১২ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার পরীক্ষার্থীসহ সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৪ জন, ছাত্রী ৮ লাখ ৩৫ হাজার ০৩৪ জন। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৯০ জন বেশি। এসএসসিতে মোট ১৭ হাজার ২০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৯৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবারের দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী হলো ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৮জন, ছাত্রী ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০৪ জন। দাখিল পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৬ জন বেশি। মোট ৯ হাজার ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭০৭টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, এবারে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৭ হাজার ২২০ জন, ছাত্রী ২৭ হাজার ৫৪৯ জন। ২ হাজার ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

‘এবারে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে মোট ২০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, কেন্দ্র বেড়েছে ১৭৬টি। তাছাড়া এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭৩ জন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জন বলেও জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীকে হলে নিজ আসনে বসতে হবে। এ সময়ে তাদের উত্তরপত্র দেওয়া হবে। তারা আস্তে আস্তে খাতা পূরণ করে নেবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন, ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়ণের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়ণে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে প্রেরণ করবে।

তিনি বলেন, এবারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ সাহায্যকারীর সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এবারের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে, শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ মার্চ।