
ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ, কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার কাহালুতে অধিক মুনাফা লাভের আসায় সরকারের ভর্তুকি দেওয়া সার কালোবাজারে বিক্রয়কালে ১৭ টন সারসহ ৫ ডিলারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর এলাকা থেকে কালোবাজারে সার বিক্রয়কালে ১৭ টন (৩৫০ বস্তা) সার সহ ৫ ডিলারকে গ্রেফতার করে বগুড়া র্যাব-১২। এসময় সার বহন করা একটি ট্রাক (বগুড়া-ট-১১-০৯২৩) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সারের ডিলার ও কালোবাজারির মূলহোতা বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম এলাকার আয়েত আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৩৫) এবং আদমদীঘি উপজেলার সারের ডিলার সহযোগী সু দিন এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে মো. নওশাদ (৪৬)। অপর সহযোগীরা হলেন আদমদীঘি বাজার এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে এমদাদুল হক (৪৩), শালগ্রাম এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে ফজলুল হক (৫৫), ও আদমদীঘি বাজার এলাকার মৃত নাসিউল হকের ছেলে এহসানুল করীম (৪৭)।
বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানী কমান্ডার (লেঃ কমান্ডার) আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন জানান, বগুড়া জেলায় সারের চাহিদা বেশি থাকায় এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার বেশি মুনাফার লোভে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া সার কালোবাজারে বিক্রয় করছে এবং আদমদীঘি থেকে নন্দীগ্রাম অভিমুখে ট্রাক বোঝাই কালোবাজারির ৩৫০ বস্তা সার আসার খবরে কাহালুতে চেকপোস্ট বসানো হয়। গত দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩৫০ বস্তা সারসহ একটি ট্রাক জব্দ এবং ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রাকটিতে টিএসপি ও এমওপির ৩৫০ বস্তা সার পাওয়া গিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উদ্ধারকৃত ১৭ টন সার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ডিলারের নামে বরাদ্দ হয়েছিল। বরাদ্দকৃত সারগুলো নন্দীগ্রামের ডিলারের নিকট সান্তাহার বিএডিসি গোডাউন থেকে উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এলাকার কৃষকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাহালু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমবার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃদদের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এ মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।