রংপুর : রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিও হত্যা মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে স্পেশাল জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবির এই আদেশ দেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ১০ মাস পর আট জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে এখন পাঁচজন জেল হাজতে এবং এক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে তাকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করে।
জেলা জজ আদালতের এপিপি এমএ জাহাঙ্গির হোসেন তুহিন জানান, এ মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন কবির স্পেশাল জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। সেখানেই মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম চলবে। মামলার পরবর্তী তারিখও স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নির্ধারণ করবেন। এ সময় চার্জশিটভুক্ত আট জেএমবি সদস্যের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারকের কাছে মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুনিও হত্যার পর জেএমবির সামরিক শাখার নেতা মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর জঙ্গি এছাহাক আলী, সাইদ হোসেন , সাখাওয়াত হোসেন এবং লিটনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আট জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বাকি তিন জঙ্গি পলাতক ছিল। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান রাজশাহীতে কিছুদিন আগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। অপর পলাতক দুই আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আনছারী ও সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিতে গত সপ্তাহে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।