
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ যে ‘জবাব দেবে’, তাতে ক্ষমতাসীনরা ৩০টির বেশি আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এক অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই এবং গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো করে জানে, যদি সহায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচন দেয়, কোনো দিনই তারা ৩০টার বেশি আসন পাবে না। নির্বাচন দিলেই দেখা যাবে, তারা কোথায় গিয়ে অবস্থান করছে।’
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় এক প্রার্থনা সভা হয়। এতে জিয়াউর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক বিজয় ও বিএনপির হ্যাটট্রিক পরাজয় হবে।’
ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এখন তারা (সরকার) দেশের যে অবস্থা তৈরি করে ফেলেছে, তাতে দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সেখানেই তাদের সেই কথাগুলোর দাঁত ভাঙা জবাব দিয়ে দেবে জনগণ।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) বাধ্য হয়ে এসব কথা বলছে। যেটাকে আমরা বলি যে, পলিটিক্যাল রেটোরিক কথা আর কি। সেই সমস্ত রেটোরিক নিয়ে তো রাজনীতি হবে না, জনগণকেও বোকা বানানো যাবে না।’
এ সময় সকল দলের অংশগ্রহণে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচণ হতে হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির মুখপাত্র।
জিয়াউর রহমানের আদর্শ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন, ধর্মহীনতা তিনি বিশ্বাস করতেন না। বিএনপি জিয়ার সেই দর্শনে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা কোনো সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বাস করি না। এর মূল উৎপাটনে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
দেশে বর্তমান কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ ও তার সম্পত্তি নিরাপদ নয় উল্লেখ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সকলকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অমলেন্দু দাশ অপুর পরিচালনা এই প্রার্থনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সঞ্জীব চৌধুরী, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জয়ন্ত কুমার কুনাড, নুকুল চন্দ্র সাহা, জন গোমেজ, রমেশ দত্ত, সুশীল বড়ুয়া, দেবাশীষ রায় মধুসহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।