
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণখানে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত আফিফ ওরফে শহীদ ওরফে আদর কাদেরীর শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তার শরীর থেকে মাত্র এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি দুপুর দেড়টা থেকে ২টা পর্যন্ত আফিফের ময়নাতদন্ত করেন।
সোহেল মাহমুদ বলেন, আফিফের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকে মাত্র একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো তার শরীর ভেদ করে বের হয়ে গেছে।
পুলিশের গুলিতে মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা করেছেন আফিফ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে এটা নিশ্চিত গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, তার ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করার জন্য আমরা থাই মাসেল, চুল ও দাঁত সংগ্রহ করেছি। কেমিক্যাল এনালাইসিসের জন্য কিছু স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ইউরিন ও রক্তের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনায় ৫০ নম্বর সূর্য ভিলায় জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সেখানে ১৬ ঘণ্টার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। তারা হলো- কথিত জঙ্গি সুমনের স্ত্রী শাকিরা এবং আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর কিশোর ছেলে আফিফ ওরফে শহীদ ওরফে আদর কাদেরী।
অভিযানে এক শিশু আহত হয়। দুই শিশুকে নিয়ে দুই নারী আত্মসমর্পণ করেন। এরা হলেন- প্রাক্তন মেজর ও মিরপুরের রূপপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও তার মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গিনেতা মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার মেয়ে।
শনিবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় নারী জঙ্গি শাকিরা। এতে ইকবালের মেয়ে আহত হয়। পরে ভেতর থেকে তানভীর কাদেরীর ছেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জবাবে পুলিশও গুলি চালায়। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে রোববার রাত ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।