গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় আ.লীগ নেতা, পুলিশসহ ১০ জন আহত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ চলাকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে।

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে পুলিশের এক কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডার জেরে সড়ক অবরোধ চলাকালে গোপালগঞ্জ জেলা শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গত বুধবার রাতে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) এয়াকুব হোসেনের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তার মোটরসাইকেলটি পুলিশ নিয়ে যায়।

পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল পৌনে ১০টায় গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে তারা।

অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাতে গেলে নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা, কোটালীপাড়া থানার এসআই হাফিজুর রহমান ভূইয়া, কনস্টেবল মতিয়ার রহমানসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, বুধবার রাতে এএসপি (হেডকোয়ার্টার) এয়াকুব হোসেনের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গভীর রাতেও ওই সড়কে অবরোধ করে ছাত্রলীগ। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেয় তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা আবার সড়ক অবরোধ করে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) এয়াকুব হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাত ১২ টার দিকে রাস্তায় তার কাছে মোটরসাইকেলের কাগজ চাওয়া হলে তিনি তার কাগজপত্র বাসায় আছে জানালে তার গাড়িটি রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা সড়ক অবরোধ করলে তা দুঃখজনক। তবে বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মীমাংশা করা যাবে।