
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : শনিবার সকালে ও দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা এবং কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া, হিরন ও কান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জে ফুটবল খেলা ও জমিজমা বিরোধের জের ধরে আলাদা তিনটি সংঘর্ষে পুলিশ ও নারীসহ কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা গ্রামের বটবাড়ী ও চৌদ্দপাড়কান্দি পাড়ার মধ্যে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। এ সময় বটবাড়ীর তারা ও চৌদ্দপাড়কান্দির রাসেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষে নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে মারাত্মক আহত সিরাজ খান (৩৫), পটু (২৭), সানু (৩৫), রবিউল (২৮), ফরিদা বেগম (২৮), টিটু খান (৩৫), জামাল (২৪), ইব্রাহিম (১৫), হাসান (২৬), সালমান (১৭) নাসিম শেখ (২০), লিটন উকিল (৩৪) ও বিল্লাল ফকিরসহ (২০) ২০ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, শুক্রবার বিকেলে ঈদ উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া ও হিরন গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা হয। এ সময় দুই গ্রামের খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই পুলিশসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারাত্মক আহত ইউসুফ শেখ (২২), হাসান শেখ (১২), সাব্বির শেখ (১৮), সালমান শেখ (২২), লাবু শেখ (৩৫), জসিম শেখকে (২৭) গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও সাতজনকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসআই মোশাররফ হোসেন ও এসআই মোজাহিদুল ইসলামসহ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দিগ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হাসমত ও ইসরাফিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে পাঁচজনকে কোটারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।